আজ বুধবার ১৭ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের কাছ থেকে কোনো নসিহতের দরকার নেই। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা এই সরকারের শুরুর প্রথম দিন থেকেই বলে আসছি, একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে আমরা সচেষ্ট। এখন ভারত আমাদের এই পরামর্শ দিচ্ছে। অথচ গত ১৫ বছরে যখন আমাদের দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি তখন কিন্তু ভারত কোনো কথা বলেনি। পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি নির্বাচনই বিতর্কিত হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৪ সালের নির্বাচন ‘বিনা ভোট’, ২০১৮ সালের নির্বাচন ‘নিশি রাতের ভোট’ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন ‘ডামি ভোট’ হিসেবে সমালোচিত। প্রত্যেকটি নির্বাচনের আগেই ভারত বিষয়টিকে বাংলাদেশের ‘অভ্যন্তরীণ ইস্যু’ বলে এড়িয়ে গেছে, যা মূলত হাসিনা সরকারের অবৈধ নির্বাচনেরই প্রতি সমর্থন বলে বিরোধীদের অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনে নিরাপত্তা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছে দিল্লি। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, আজকে ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাওয়ের যে কর্মসূচি দিয়েছে, সেখানে আমরা নিরাপত্তা জোরদার করেছি। তবে এমন কর্মসূচিতে তাদের উদ্বেগ স্বাভাবিক। ভারত খুনি-সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ অস্থিতিশীল করতে চাইলে সেদেশের ‘সেভেন সিস্টার্স’ও ভেঙে দেওয়া হবে বলে এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা সরকারের বক্তব্য কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটা সরকারের বক্তব্য নয়। সরকারের বক্তব্য হলে তো আমি বলতাম অথবা অন্য কোনো উপদেষ্টা বলতেন।