বিদেশি পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে চলেছেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলা সংসদ নির্বাচন ও একই দিনে নির্ধারিত জুলাই সনদ সংক্রান্ত গণভোট সরেজমিনে পর্যবেক্ষণের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলিকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছে ঢাকা। সংশ্লিষ্ট দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির কাছে ইতিমধ্যেই প্রতিনিধিদল পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবি, ২০০৮ সালের পর এই প্রথম একসঙ্গে এত বিপুল সংখ্যক বিদেশি নির্বাচনি পর্যবেক্ষককে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী প্রশাসনের বক্তব্য—পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ও আন্তর্জাতিক উপস্থিতির দিক থেকে এবারের উদ্যোগ নজিরবিহীন।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র উদ্ধৃত করে প্রথম আলো জানিয়েছে, আমেরিকার ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই), ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কমনওয়েলথ-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা নির্বাচনী পর্যবেক্ষণে অংশ নেবে। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকেও স্বতন্ত্র পর্যবেক্ষকেরা যুক্ত হবেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দলে। খবরে জানানো হয়েছে, ২৭ দেশের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ১৫০ থেকে ১৮০ জন পর্যবেক্ষক বাংলাদেশে আসতে পারেন। আমেরিকার প্রতিনিধিদলে থাকতে পারেন প্রায় ৫০ জন এবং কমনওয়েলথের পর্যবেক্ষক সংখ্যা হতে পারে প্রায় ৩০ জন। কূটনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের সময় এই ব্যাপক আন্তর্জাতিক উপস্থিতি ইউনূস সরকারের জন্য রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরতে চাইছে ঢাকা।
অনলাইন ডেস্ক
